আমাদের শরীরে সঠিক অনুপাতে সমস্ত ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি প্রয়োজন। এই সব উপাদান খাদ্যের মাধ্যমেই আমাদের গ্রহণ করতে হবে।তবে আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে সবচেয়ে যে জিনিসটার অভাব লক্ষ্য করা যায় তা হলো আয়রনের অভাব। আয়রনের ঘাটতিজনিত রোগ রক্তাল্পতা তখনই হয় যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা থাকে না। আমাদের লোহার প্রয়োজন হয় কেন? হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে আমাদের আয়রন প্রয়োজন, এটি এমন একটি প্রোটিন যা আপনার লোহিত রক্তকণিকার অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে।

লোহিত রক্তকণিকা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ করে। এই কণিকা আমাদের শরীরের বাকি অংশে এই অক্সিজেন নিয়ে যায়। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, যা এই রক্তকণিকা থেকে আসে। যখন পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকে না। তখন আমরা ক্লান্ত, দুর্বল এবং শ্বাসকষ্ট অনুভব করি। হিমোগ্লোবিন তৈরী করতে আয়রন খুবই দরকার। এটি এমন একটি প্রোটিন যা আপনার শরীরে অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে।

আয়রনের ঘাটতি জনিত রোগ অ্যানিমিয়ার লক্ষণগুলি:

আয়রনের ঘাটতি যখন বেশি দেখা দেয় তখন যেসব লক্ষণ দেখা দেয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এছাড়া কারও শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে মুখ, মাড়ি, ঠোঁট, নীচের চোখের পাতা এবং নখও ফ্যাকাশে দেখায়।

২.শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।

৩.রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। তখন ত্বক, চুল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়া এবং নখ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৪.আয়রনের অভাবে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় তখন শরীরের টিস্যুগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে অসুবিধা হয়। যখন পেশি পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না তখন হাঁটতে বা অন্য কোনও কাজ করতে ক্লান্ত লাগে।

শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবার যেমন, কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি। সেই সাথে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে।

সূত্র: হেলথ শটস